Famous-scientist
ছোটবেলায় অত্যন্ত দুর্বল ছাত্র ছিল এমন অনেকেই বড় হয়ে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছেন।
টমাস এডিসন:
একদিন ৪ বছরের একটি বাচ্চা স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরল তার মাস্টার মশাইয়ের একটি ছোট চিঠি নিয়ে। মাস্টার মশাই তার মাকে লিখেছেন, ‘আপনার টমি এত বোকা যে তার পক্ষে লেখাপড়া শেখা সম্ভব নয়। তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিন।’ বালকটির মা প্রতিজ্ঞা করলেন, ‘আমি তাকে নিজেই পড়াব, আমার টমি বোকা নয়।’ সেই বোকা টমিই পরবর্তী কালের অসাধারণ প্রতিভাধর বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন; এই বোকা টমিই পরবর্তীকালে গ্রামোফোন যন্ত্র এবং বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিস্কার করেন। বড় হয়ে এডিসন নিজেই বলেছিলেন, ‘এখন আমি পাতার পর পাতা মুখস্থ রাখতে পারি। আমার এই ক্ষমতাটা যদি ছোটবেলায় থাকত!’
আইনস্টাইন:
বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে ছোটবেলায় বলা হত গবেট। স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে তার পড়ালেখা শুরু করতে করতেই নয় বছর পেরিয়ে যায়। স্কুলে ভর্তি হন অনেক দেরিতে। স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে প্রথমবার ফেল করেন; দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করেন। দু’দুবার পরীক্ষা দিয়ে তাকে এন্ট্রাস পাস করতে হয়। গাধা ছাত্র হওয়ার কারণে তিনি শখের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেননি। বড় হয়ে চাকরির চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হন্ তাঁর স্মৃতিশক্তি এতই দুর্বল ছিল যে, ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে পারতেন না। স্মৃতিশক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েন আইনস্টাইন। শুরু হয় স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর আপ্রান চেষ্টা। মাত্র দুবছরের চেষ্টায় স্মৃতিশক্তির অসাধারণ উন্নতি ঘটালেন। এর পড়ের ঘটনা সবারই জানা। তাঁর অক্লান্ত চেষ্টায় পরবর্তী ২০ বছরের মাথায় তিনি পদার্থ বিজ্ঞানে লাভ করেন নোবেল পুরস্কার। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন-‘আমার ছোটবেলা ও বর্তমাণের মাঝে তুলনা করলেই আপনিই তা বুঝতে পারবেন।’
No comments